‘যে শিশুরা রোজ রাতে বদলায় হাতে হাতে’

নির্বাণ পাল :

সমাজ গবেষক, ঢা.বি.
কক্সবাজার পর্যটনের রাজধানী। কেমন এ পর্যটন রাজধানীর রাতের দৃশ্য! কেউ যদি ডিসি সাহেবের আঙ্গিনায় যেয়ে থাকেন তো দেখবেন সন্ধ্যা নামলেই একদল কিশোর-কিশোরী দল বেঁধে রাতের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।

৮-১৬ বছরের কিশোরীরা সাজতে শুরু করে রাতের রানী হতে। এদের সংখ্যা ১০-১৫ জন। আরো জনাবিশেক কিশোর তাদেরকে ঘিরে আবর্তিত হয়। কেউ করে দালালী। কেউ করে চুরি-ছিনতাই কেউবা অন্য ধান্দা। সারারাত ভর এই কিশোর বাহিনী দাপিয়ে বেড়ায় সারা-শহর।

শৈবাল হোটেল, সুগন্ধা পয়েন্ট, সীগাল ঝাউবন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ইত্যাদি ইত্যাদি স্থানে রাতভর তাদের দেখতে পাওয়া যায়। ভোর হতেই তারা আবার ফিরে আসে ডিসি সাহেবের আঙ্গিনায় বোধি বৃক্ষের নীচে। মাদুর বা চট বিছিয়ে ভূমি শয্যা গ্রহন করে তারা। ধীরে ধীরে সকাল হয়। ভদ্রলোকের ভীড় বাড়তে থাকে ডিসি অফিসে। সুধীজন অবাক চোখে দেখে কুকুর-বিড়ালের সাথে শুয়ে আছে কিছু মানব শিশু। এদের কি এখানে থাকার কথা ছিল? এরাতো কারোনা কারো সন্তান, কারো ভাই, কারো বোন। পথ ওদের ঠিকানা হলেও ওরা মানুষেরই সন্তান। আমাদের কি কারো কিছু করার নেই তাদের জন্য? এত শিশু বিষয়ক এনজিও, কত কত শিশু মন্ত্রণালয় এদের কারো কি চোখে পড়েনা এদের প্রতি? একটু সদয় হোন। আসুন এই মানব শিশুদের পথ থেকে বুকে তুলে নিই।